আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): যুদ্ধবিরতির পর যে খাদ্য সরবরাহ হচ্ছে, তা পরিবারগুলোর চাহিদার চেয়ে কম। ফলে গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে খাদ্যাভাব ও হাহাকার রয়েই গেছে। আল জাজিরা ও রয়টার্সের খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ খাদ্য সরবরাহে অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে সতর্কতা দিয়েছে।
গাজায় আসা ট্রাকগুলো এখন ত্রাণ বহন করছে না, সেগুলোতে এখন বাণিজ্যিক পণ্য আসছে। ফলে অনেক পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় তাজা খাবার পেতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। গাজার কৃষিক্ষেত্র পুনর্নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখা জরুরি।
আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েল সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় প্রতিদিন সকাল থেকেই গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী কিসুফিম ক্রসিংয়ে ত্রাণের বহু ট্রাক আটকে আছে। ইচ্ছাকৃত কম সংখ্যক ট্রাক ছাড়ছে ইসরায়েল। প্রতিদিন গাজায় ৬০০ ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করার কথা থাকলেও প্রকৃত সংখ্যা ৩০০টিরও কম। চাহিদা বিবেচনায় গাজায় ৬০০ ট্রাকও যথেষ্ট নয়। এখনও কিছু পণ্যের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। কখনও কখনও ইসরায়েল থেকে ট্রাক খালি অবস্থায় ফিরে আসছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, যুদ্ধবিরতির পর থেকে প্রতিদিন গাজায় ৫৬০ টন খাদ্য প্রবেশ করেছে, কিন্তু আরও বেশি প্রয়োজন। ডব্লিউএফপির মুখপাত্র আবির এতেফা জেনেভায় বলেন, ‘আমাদের কাছে মাত্র তিন মাসের খাবার রয়েছে। যুদ্ধবিরতির পরও খাবারের সরবরাহ অনেক কম। খাবার পৌঁছাতে দীর্ঘস্থায়ী প্রবেশাধিকার না থাকলে সবার কাছে খাদ্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।’
Your Comment